ভিভো এক্স ৩০০ সিরিজ: ২০০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার ফোন
![]() |
| ভিভো এক্স৩০০ সিরিজ: ২০০ মেগাপিক্সেলে বদলে যাবে মোবাইল ফটোগ্রাফি! |
ভিভো এক্স৩০০ সিরিজ ভারতের বাজারে আসছে
ভিভো এক্স৩০০ সিরিজ, যার মধ্যে রয়েছে ভিভো এক্স৩০০ প্রো এবং ভিভো এক্স৩০০, শিগগিরই ভারতে উন্মোচিত হতে চলেছে। চীন ও বৈশ্বিক বাজারে প্রকাশের পর এবার ভারতীয় গ্রাহকদের জন্য কোম্পানি আনছে বিশেষ চমক।
ভারতীয় বাজারের জন্য নিশ্চিত করা হয়েছে যে স্ট্যান্ডার্ড ভিভো এক্স৩০০ মডেলটি এক্সক্লুসিভ লাল রঙে উপলব্ধ হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ প্রকাশিত টিজারে এই লাল রঙের উপস্থিতি স্পষ্টভাবে দেখা গেছে। বিশেষভাবে, এই রঙটি শুধুমাত্র ভারতের জন্য রাখা হয়েছে এবং ভিভো ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইটেও এর উপলব্ধতা উল্লেখ করা হয়েছে।
এই এক্সক্লুসিভ লাল রঙ ব্যবহারকারীদের কাছে ফোনটিকে আরও আকর্ষণীয় ও স্টাইলিশ হিসেবে তুলে ধরবে।
ভিভো এক্স৩০০ সিরিজ: নকশা, রঙ ও পারফরম্যান্স
ভিভো এক্স৩০০ সিরিজ, যার মধ্যে রয়েছে ভিভো এক্স৩০০ প্রো ও ভিভো এক্স৩০০, প্রিমিয়াম নকশা ও আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য নিয়ে ভারতে আসছে। এক্সক্লুসিভ লাল রঙ ছাড়াও আরও কয়েকটি রঙের বিকল্প উপলব্ধ থাকবে, যাতে ব্যবহারকারীরা নিজেদের স্টাইল ও পছন্দ অনুযায়ী ফোন বেছে নিতে পারেন। বিশেষভাবে লাল রঙের টোনটি ভারতীয় গ্রাহকদের পছন্দ মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে।
ভারতীয় সংস্করণে ফোনটিতে থাকবে ৩ ন্যানোমিটার প্রযুক্তি ভিত্তিক মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৯৫০০ প্রসেসর, যা দ্রুতগতির পারফরম্যান্স, উন্নত বিদ্যুৎ দক্ষতা এবং মসৃণ মাল্টিটাস্কিং নিশ্চিত করবে। ফটোগ্রাফির জন্য ফোনে সংযোজিত প্রো ইমেজিং ভিএস১ চিপ ও ভি৩+ ইমেজিং চিপ নাইট ফটোগ্রাফি, রঙের স্বচ্ছতা এবং ভিডিও স্থিতিশীলতায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি প্রদান করবে।
সফটওয়্যার হিসেবে থাকবে অ্যান্ড্রয়েড ১৬ ভিত্তিক অরিজিনওএস ৬, যা বৈশ্বিক সংস্করণের মতোই মসৃণ ও ব্যবহারবান্ধব অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে। এই সমন্বয় ভিভো এক্স৩০০ সিরিজকে একটি প্রিমিয়াম, শক্তিশালী এবং ফটোগ্রাফি-সহায়ক স্মার্টফোন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে।
ভিভো এক্স৩০০ প্রো ক্যামেরা বিবরণ:
ভিভো এক্স৩০০ প্রো ভারতের বাজারে উন্মোচন হবে জায়েস টিউনড তিনটি পেছনের ক্যামেরা সেটআপসহ, যা ব্যবহারকারীদের প্রফেশনাল মানের ফটোগ্রাফি অভিজ্ঞতা দেবে। প্রধান ক্যামেরা হিসেবে থাকবে ৫০ মেগাপিক্সেল সনি এলওয়াইটি–৮২৮ সেন্সর, যার f/1.57 অ্যাপারচার কম আলোতে অসাধারণ ডিটেল ও শার্পনেস নিশ্চিত করবে।
অলট্রা-ওয়াইড ফটোগ্রাফির জন্য ৫০ মেগাপিক্সেল স্যামসাং জেএন১ সেন্সর (f/2.0) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা বড় দৃশ্য বা ল্যান্ডস্কেপ ছবি তোলার জন্য আদর্শ। সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফিচার হলো ২০০ মেগাপিক্সেল এইচপিবি এপো টেলিফটো ক্যামেরা (f/2.67), যা উন্নত জুম এবং দূরের বিষয়বস্তুর প্রায় নিখুঁত শট ক্যাপচার করতে সক্ষম।
সেলফি ও ভিডিও কলিং-এর জন্য ফোনের সামনে থাকবে ৫০ মেগাপিক্সেল স্যামসাং জেএন১ f/2.0 সেন্সর, যা উচ্চমানের ছবি এবং ভিডিও নিশ্চিত করবে। এই সংমিশ্রণ ভিভো এক্স৩০০ প্রোকে একটি পূর্ণাঙ্গ ফটোগ্রাফি ডিভাইস হিসেবে পরিণত করেছে, যা সব ধরনের আলো ও দৃশ্যে চমৎকার পারফরম্যান্স দেবে।
ভিভো এক্স৩০০ প্রো ক্যামেরা বৈশিষ্ট্য

ভারতীয় সংস্করণে ভিভো এক্স৩০০ প্রো আসছে জায়েস টিউনড তিনটি পেছনের ক্যামেরা সেটআপ সহ।
প্রধান ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল সনি এলওয়াইটি–৮২৮ সেন্সর, f/1.57 অ্যাপারচার, কম আলোতেও অসাধারণ ডিটেল ও শার্পনেস নিশ্চিত করে।
আলট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল স্যামসাং জেএন১ f/2.0 অ্যাপারচার, বিস্তৃত দৃশ্যধারণের জন্য।
টেলিফটো ক্যামেরা: ২০০ মেগাপিক্সেল এইচপিবি এপো, f/2.67 অ্যাপারচার, উন্নত জুম পারফরম্যান্স।
সামনের ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল স্যামসাং জেএন১ f/2.0, সেলফি ও ভিডিও কলিংয়ের জন্য উচ্চমানের ছবি।
স্ট্যান্ডার্ড ভিভো এক্স৩০০ ক্যামেরা বৈশিষ্ট্য
স্ট্যান্ডার্ড এক্স৩০০ মডেলেও জায়েস–চালিত তিনটি পেছনের ক্যামেরা থাকবে।
প্রধান ক্যামেরা: ২০০ মেগাপিক্সেল এইচপিবি, f/1.68 অ্যাপারচার, ওআইএস সমর্থিত, উচ্চমানের ছবি তোলার জন্য।
টেলিফটো ইউনিট: ৫০ মেগাপিক্সেল সনি এলওয়াইটি–৬০২ সেন্সর, f/2.57 অ্যাপারচার সহ ওআইএস, স্থিতিশীল জুম শট নিশ্চিত করে।
আলট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল স্যামসাং জেএন১, বিস্তৃত দৃশ্যের জন্য।
সামনের ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল স্যামসাং জেএন১ f/2.0, সেলফি ও ভিডিও কলিংয়ে নিখুঁত ছবি।
