ঘন ঘন চা পান করলে কি কিডনিতে পাথর জমে?

ঘন ঘন চা পান করলে কি কিডনিতে পাথর জমে
ঘন ঘন চা পান কি কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি বাড়ায়? সতর্ক থাকুন, সুস্থ থাকুন!

প্রতিদিনের ক্লান্তি দূর করতে এক কাপ গরম চা এ যেন বাঙালির জীবনের অঙ্গ। সকালে ঘুম ভাঙানো থেকে শুরু করে অফিসের ফাঁকে বা বিকেলের আড্ডায়, চা ছাড়া যেন দিনই অসম্পূর্ণ।

তবে এই প্রিয় পানীয়টি পরিমিত মাত্রায় পান করলে শরীরের ক্ষতি নয়, বরং উপকারই করে। চা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা শরীরকে সতেজ রাখে ও মানসিক ক্লান্তি কমায়।

কিন্তু অতিরিক্ত বা ঘন চা পান করলে পরিস্থিতি উল্টো হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত চায়ে থাকা অক্সালেট নামের যৌগ কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকি বাড়ায়। পাশাপাশি এটি কিডনির কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় এবং শরীরের টক্সিন নির্গমনের প্রক্রিয়া ব্যাহত করে।

🔸 কেন ক্ষতিকর:

  • অতিরিক্ত অক্সালেট কিডনিতে জমে গিয়ে পাথর তৈরি করতে পারে।

  • ঘন চা শরীরে পানিশূন্যতা ঘটায়, যা কিডনির ওপর অতিরিক্ত চাপ ফেলে।

  • চায়ে থাকা ক্যাফেইন অতিরিক্ত গ্রহণ করলে রক্তচাপ ও হার্টবিট বাড়ায়, যা কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

🔸 কতটা নিরাপদ:
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন ২–৩ কাপ হালকা চা নিরাপদ মাত্রা। এর বেশি চা পান করলে তা শরীরের জন্য উপকারের বদলে ক্ষতির কারণ হতে পারে।

তাই পরিমিত চা পান করুন, পর্যাপ্ত পানি পান করুন আর কিডনিকে রাখুন সুস্থ ও সক্রিয়।

 অতিরিক্ত চা ও কিডনির ওপর প্রভাব

অক্সালেট জমে পাথর তৈরি

চায়ের মধ্যে থাকে অক্সালেট (Oxalate) নামের এক ধরনের প্রাকৃতিক যৌগ। এটি স্বাভাবিক পরিমাণে শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়, তবে ঘন ঘন বা অতিরিক্ত চা পান করলে শরীরে অক্সালেটের মাত্রা বেড়ে যায়

এই অতিরিক্ত অক্সালেট শরীরে থাকা ক্যালসিয়ামের সঙ্গে মিশে ক্যালসিয়াম অক্সালেট ক্রিস্টাল তৈরি করে, যা কিডনিতে জমে পাথর গঠনের অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত অতিরিক্ত চা পানকারীদের মধ্যে কিডনিতে পাথর, ব্যথা বা প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই চা পান করতে হবে পরিমিতভাবে, সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি পান করাও জরুরি যাতে শরীরের টক্সিন সহজে বেরিয়ে যেতে পারে।

অতিরিক্ত চা ও কিডনির ওপর প্রভাব

অক্সালেট জমে পাথর তৈরি

চায়ের মধ্যে থাকে অক্সালেট (Oxalate) নামের প্রাকৃতিক যৌগ। অতিরিক্ত চা পান করলে শরীরে অক্সালেটের মাত্রা বেড়ে যায়, যা ক্যালসিয়ামের সঙ্গে মিশে ক্যালসিয়াম অক্সালেট ক্রিস্টাল তৈরি করে। এই ক্রিস্টাল কিডনিতে জমে ধীরে ধীরে পাথর (Kidney Stone) গঠনের ঝুঁকি বাড়ায়।

ক্যাফেইনের কারণে ডিহাইড্রেশন

চায়ে থাকা ক্যাফেইন একটি মূত্রবর্ধক (Diuretic) উপাদান, যা শরীর থেকে ঘন ঘন প্রস্রাবের মাধ্যমে পানি বের করে দেয়।
যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না পান করা হয়, তাহলে শরীরে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা দেখা দেয়।
এর ফলে কিডনিকে শরীরের বর্জ্য ছেঁকে ফেলতে বেশি পরিশ্রম করতে হয়, যা তার ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে।

⚠️ কিডনির ওপর চাপ বৃদ্ধি

যখন কেউ দীর্ঘ সময় ধরে অতিরিক্ত চা পান করেন, তখন কিডনিকে প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত কাজ করতে হয়। এতে কিডনির ফিল্টারিং ক্ষমতা (Filtering Efficiency) ধীরে ধীরে কমে যায়।
বিশেষ করে যাদের আগে থেকেই কিডনির সমস্যা বা উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি আরও বেশি।

 চা–প্রেমীদের সতর্কতা: কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য কখন সতর্ক হওয়া জরুরি

প্রতিদিনের ক্লান্তি দূর করতে এক কাপ গরম চা এ যেন বাঙালির জীবনের অঙ্গ। সকাল থেকে বিকেল, অফিসে বা আড্ডায় চা ছাড়া দিন অসম্পূর্ণ মনে হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন অতিরিক্ত বা ঘন চা কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

🩺 অতিরিক্ত চা কিডনির ওপর প্রভাব

1️⃣ অক্সালেট জমে পাথর তৈরি: চায়ের মধ্যে থাকা অক্সালেট ক্যালসিয়ামের সঙ্গে মিশে ক্যালসিয়াম অক্সালেট ক্রিস্টাল তৈরি করে, যা কিডনিতে পাথর গঠনের প্রধান কারণ।

2️⃣ ক্যাফেইনের কারণে ডিহাইড্রেশন: চায়ে থাকা ক্যাফেইন একটি মূত্রবর্ধক উপাদান, যা ঘন ঘন প্রস্রাব তৈরি করে। পর্যাপ্ত পানি না পান করলে শরীরে ডিহাইড্রেশন হয় এবং কিডনির ওপর চাপ বাড়ে।

3️⃣ কিডনির ওপর চাপ বৃদ্ধি: দীর্ঘ সময় অতিরিক্ত চা পান করলে কিডনিকে অতিরিক্ত কাজ করতে হয়। এতে ফিল্টারিং ক্ষমতা কমে যেতে পারে, বিশেষ করে যাদের আগে থেকেই কিডনির সমস্যা আছে।

⚠️ কখন সতর্ক হবেন

নিয়মিত ঘন ঘন চা পান করলে নিচের লক্ষণগুলো লক্ষ্য করলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি

  • অস্বাভাবিক প্রস্রাব: ঘন ঘন প্রস্রাব বা হঠাৎ প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া।

  • প্রস্রাবের রং পরিবর্তন: গাঢ় হলুদ বা লালচে রং (রক্তের উপস্থিতি)।

  • ফোলাভাব: চোখ, মুখ, পা বা গোড়ালিতে অস্বাভাবিক ফোলাভাব।

  • পিঠ বা কোমরের ব্যথা: কোমরের নিচে বা পাশে একটানা ব্যথা।

  • অতিরিক্ত ক্লান্তি ও দুর্বলতা: ক্রমাগত অবসাদ, দুর্বলতা বা মনোযোগ ধরে রাখতে সমস্যা।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

  • চা ত্যাগ করার প্রয়োজন নেই, কিন্তু পরিমিত রাখা জরুরি।

  • দিনে ২–৩ কাপ চা নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যসম্মত।

  • পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং শরীরের পানির ভারসাম্য ঠিক রাখুন।

কারণ চা যতই প্রিয় হোক, সুস্থ কিডনি ছাড়া কোনো প্রিয় পানীয় দীর্ঘদিন উপভোগ করা সম্ভব নয়।

📚 সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন Please Share with your Friends

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url