বস্ত্র শিল্প এবং পোশাক শিল্পের মধ্যে পার্থক্য: একটি সম্পূর্ণ গাইড
![]()  | 
| "বস্ত্র শিল্প বনাম পোশাক শিল্প – পার্থক্য জানুন এক নজরে! একটি সম্পূর্ণ গাইড" | 
বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস শিল্পের উপর নির্ভরশীল। যদিও অনেক সময় বস্ত্র শিল্প এবং পোশাক শিল্প একই অর্থে ব্যবহার হয়, এ দুটি পৃথক কার্যক্রম ও প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে। এই ব্লগে আমরা উভয় শিল্পের মধ্যে প্রধান পার্থক্য বিস্তারিতভাবে তুলে ধরব।
বস্ত্র শিল্প (Textile Industry)
বস্ত্র শিল্প মূলত কাঁচা সুতা, ফাইবার বা তুলা থেকে কাপড় (ফ্যাব্রিক) তৈরি করার সাথে সম্পর্কিত।
- 
মূল কার্যক্রম: স্পিনিং, বোনা বা বয়ন, রঙ করা, প্রিন্টিং, ফিনিশিং।
 - 
উৎপাদন পণ্য: ফ্যাব্রিক, সুতা, কাপড়ের রোল।
 - 
ক্রেতা/বাজার: পোশাক কারখানা, হোম ফ্যাব্রিক বাজার, ইন্ডাস্ট্রি।
 
পোশাক/গার্মেন্টস শিল্প (Garments Industry)
পোশাক শিল্প হলো ফ্যাব্রিক থেকে তৈরি পোশাক (শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট, জ্যাকেট) তৈরি ও বাজারজাত করার শিল্প।
- 
মূল কার্যক্রম: ডিজাইন, কাটিং, সেলাই, স্টাইলিং, প্যাকেজিং।
 - 
ক্রেতা/বাজার: স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ফ্যাশন বাজার, খুচরা বিক্রেতা।
 - 
লক্ষ্য: ফ্যাব্রিক থেকে মানসম্মত এবং ফ্যাশনেবল পোশাক তৈরি ও বিক্রি করা।
 
বস্ত্র শিল্প এবং পোশাক শিল্পের প্রধান পার্থক্য
| বিষয় | বস্ত্র শিল্প | পোশাক/গার্মেন্টস শিল্প | 
|---|---|---|
| মূল কার্যক্রম | ফ্যাব্রিক উৎপাদন | পোশাক তৈরি ও বাজারজাত | 
| উৎপাদন পণ্য | ফ্যাব্রিক, সুতা, কাপড় | রেডি-মেড পোশাক | 
| বাজার/ক্রেতা | কারখানা, হোম ফ্যাব্রিক | স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ফ্যাশন বাজার | 
| লক্ষ্য | মানসম্মত কাপড় তৈরি | মানসম্মত পোশাক উৎপাদন ও বিক্রয় | 
বস্ত্র শিল্প ও পোশাক শিল্প পারস্পরিক নির্ভরশীল, কারণ পোশাক শিল্পের প্রধান কাঁচামাল আসে বস্ত্র শিল্প থেকে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উভয় শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বস্ত্র শিল্প ফ্যাব্রিক উৎপাদনের জন্য অপরিহার্য, আর পোশাক শিল্প সেই ফ্যাব্রিক ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজারে মানসম্মত পোশাক সরবরাহ করে।
👉 সংক্ষেপে বলা যায়:
- 
বস্ত্র শিল্প = কাপড় তৈরি করে।
 - 
পোশাক শিল্প = সেই কাপড় দিয়ে রেডি-মেড পোশাক তৈরি করে।
 
