টেক্সটাইল টেস্ট কোনটি কি কারনে করে জেনে নিন Find out which textile tests are performed and why.

টেক্সটাইল টেস্ট কোনটি কি কারনে করে জেনে নিন Find out which textile tests are performed and why.

টেক্সটাইল টেস্ট কোনটি কি কারনে করে জেনে নিন Find out which textile tests are performed and why.
"টেক্সটাইল টেস্ট: জানুন কোনটি কেন করা হয় এবং এর গুরুত্ব"

টেক্সটাইল পণ্য বা ফেব্রিকের গুণগত মান পরীক্ষা করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিম্নলিখিত ব্যাখ্যা এবং উদ্দেশ্যগুলো আপনাকে ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে:

1. CF to Wash:

  • উদ্দেশ্য: ফেব্রিক ধোয়ার পরে এর রং ঠিক থাকে কিনা তা পরীক্ষা করা।

  • কারণ: বিভিন্ন ধরনের কাপড় ধোয়ার পর তাদের রঙ মুছে বা পরিবর্তিত হতে পারে। এটি নিশ্চিত করার জন্য, কাপড়ের কালার ফাস্টনেস যাচাই করা হয়, যাতে রঙের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা যায়।

2. 5-Times Wash:

  • উদ্দেশ্য: ফেব্রিকের রং কতটা স্থায়ী থাকে তা জানার জন্য ৫ বার সাধারণ ওয়াশ পরীক্ষা করা হয়।

  • কারণ: বায়াররা সাধারণত ৫ ওয়াশের পরে ফেব্রিকের রং ও গুণমান পরীক্ষা করতে চায়, কারণ বিদেশী বাজারে পোশাক কম সময়ের জন্য পরা হয়, এবং তারা চান যে পোশাকের রং দ্রুত নষ্ট না হয়।

3. CF to Water:

  • উদ্দেশ্য: ডাইড বা প্রিন্টেড কাপড়ের রং পানিতে কতটা স্থায়ী থাকে তা পরীক্ষা করা।

  • কারণ: ওয়াশের পর, কাপড়ের রঙের অবস্থা বা এপিয়ারেন্স পরীক্ষা করতে হয় যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে কাপড়ের প্রিন্ট বা ডাইড রং ওয়াশের পরেও ঠিক থাকবে।

4. Dry Rub, Wet Rub:

  • উদ্দেশ্য: কাপড়ের রঙ ঘর্ষণের ফলে উঠে যায় কি না তা পরীক্ষা করা।

  • কারণ: বডি টু ফেব্রিক ফ্রিকশনের কারণে কাপড়ের রঙ উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, বিশেষ করে শরীরের ঘর্ষণে। এটি পরীক্ষা করতে ভেজা এবং শুকনো অবস্থায় ঘর্ষণ পরীক্ষা করা হয়, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় রঙের স্থায়িত্ব।

5. Cross Staining Test:

  • উদ্দেশ্য: মাল্টি ফেব্রিক বা ব্লেন্ডেড গার্মেন্টসের রং কতটা স্থায়ী এবং ওয়াশের পরে সেটি ঠিক থাকে কি না তা পরীক্ষা করা।

  • কারণ: বিশেষ করে ব্লেন্ড ফেব্রিকগুলির ক্ষেত্রে, যেমন কটন এবং সিন্থেটিক ফাইবার একসাথে ব্যবহার করা হলে, একটি ফাইবার অন্য ফাইবারে রং ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই পরীক্ষা নিশ্চিত করে যে ফেব্রিকের রং ওয়াশের পর একে অপরের মধ্যে ব্লিড বা স্টেইন করতে পারে না।

7. CF to Perspiration:

  • উদ্দেশ্য: কৃত্রিম ঘামের মাধ্যমে ফেব্রিকের রং কতটা স্থায়ী থাকে তা পরীক্ষা করা।

  • কারণ: পুরুষ এবং মহিলাদের ঘামের pH ভিন্ন হয়। পুরুষের ঘাম এলকালি (ক্ষারীয়) এবং মহিলার ঘাম অ্যাসিডিক। এই টেস্টের মাধ্যমে জানানো হয়, ঘামের প্রভাবে রঙের কোনো পরিবর্তন বা ক্ষতি ঘটে কিনা।

8. CF to Saliva:

  • উদ্দেশ্য: শিশুদের গার্মেন্টসে রঙের স্থায়িত্ব পরীক্ষা করা।

  • কারণ: শিশুদের মুখের লালা কাপড়ে রং নষ্ট করতে পারে। বিশেষ করে বাচ্চাদের পোশাকের ক্ষেত্রে এই টেস্ট বাধ্যতামূলক, যাতে রঙের ফাস্টনেস নিশ্চিত করা যায়।

9. Phenolic Yellowing Test:

  • উদ্দেশ্য: গার্মেন্টস বা ফেব্রিকের লটটি অনেক দিন ধরে গুদামে থাকার পর রঙের কোনো পরিবর্তন (ইয়োলোইশ ভাব) আসে কিনা তা পরীক্ষা করা।

  • কারণ: কিছু সময় পরে, বিশেষ করে হোয়াইট ফেব্রিক বা সেডে ফ্যাক্টরি স্টোরেজের ফলে রঙ পরিবর্তিত হতে পারে। এই টেস্টে ফেব্রিকের রং কতটুকু স্থায়ী তা যাচাই করা হয়।

10. pH Test:

  • উদ্দেশ্য: ফেব্রিকের pH স্তর পরীক্ষা করা যাতে তা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর না হয়।

  • কারণ: যদি pH স্তর খুব উচ্চ বা খুব কম হয়, তবে এটি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং ফেব্রিকের স্থায়িত্ব কমিয়ে দিতে পারে। তাই pH পরীক্ষা করে নিশ্চিত করা হয় যে এটি ত্বকের জন্য নিরাপদ এবং সঠিক পরিসরে রয়েছে।

11. Pilling Test:

  • উদ্দেশ্য: ফেব্রিকের পিলিং বা গিট লেগে দানা বাধা যাচাই করা।

  • কারণ: বিভিন্ন ধরনের ফেব্রিকের মধ্যে ঘর্ষণ বা অন্যান্য মেটেরিয়ালের সাথে ঘর্ষণে পিলিং হতে পারে, যা কাপড়ের কোয়ালিটি নষ্ট করে। এই টেস্টের মাধ্যমে কাপড়ের পিলিং ফাস্টনেস নির্ধারণ করা হয়, বিশেষ করে ফ্লিচ জাতীয় কাপড়ের ক্ষেত্রে।

12. Bursting Test:

  • উদ্দেশ্য: ফেব্রিক বা গার্মেন্টস কতটুকু চাপ সহ্য করতে পারে এবং কতটুকু প্রেসারে এটি ছিঁড়ে যাবে তা পরীক্ষা করা।

  • কারণ: নীট ফেব্রিকের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই ধরনের কাপড়ের শক্তি ও চাপ সহ্য করার ক্ষমতা পরিমাপ করা প্রয়োজন। এটি ফেব্রিকের শক্তি এবং স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে ব্যবহৃত হয়।

13. CF to Light:

  • উদ্দেশ্য: কাপড়ের রং আলোতে বা রোদে কতটুকু স্থায়ী থাকে তা পরীক্ষা করা।

  • কারণ: রোদ বা আলোর প্রভাবে কাপড়ের রং বদলে যেতে পারে। এটি নিশ্চিত করতে এই টেস্ট করা হয়, যাতে কাপড়ের রং সঠিকভাবে সুরক্ষিত থাকে এবং সূর্যের আলোতে খুব দ্রুত নষ্ট না হয়।

14. Spirality Test:

  • উদ্দেশ্য: গার্মেন্টস ওয়াশের পূর্বে এবং পরে তার ডাইমেনশন বা আকার পরীক্ষা করা।

  • কারণ: ওয়াশের পরে গার্মেন্টসের সিম বা শেলাই একটু বেঁকে যেতে পারে, যা কাপড়ের স্পাইরালিটি বা টুইস্টিং প্রভাব নির্দেশ করে। এটি পরীক্ষা করে জানানো হয় যে কাপড় ওয়াশের পর কতটা বিকৃত হয়।

15. Sublimation Test:

  • উদ্দেশ্য: কেয়ার লেবেলের রং কতটা স্থায়ী থাকে তা পরীক্ষা করা।

  • কারণ: কেয়ার লেবেল সাধারণত গার্মেন্টসের রং এবং প্রিন্টের সাথে যুক্ত থাকে, এবং এটি শুকনো বা ভেজা অবস্থায় নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় পরীক্ষা করা হয় যাতে নিশ্চিত করা যায় কেয়ার লেবেলের রং দীর্ঘস্থায়ী ও নিরাপদ।

16. Light Box Test:

  • উদ্দেশ্য: ফেব্রিকের সেড বা রঙ ঠিক আছে কিনা এবং এতে অপ্টিক্যাল ব্রাইটেনিং এজেন্ট আছে কি না তা পরীক্ষা করা।

  • কারণ: কিছু গার্মেন্টস বা ফেব্রিক অপ্টিক্যাল ব্রাইটেনিং এজেন্ট ব্যবহার করে, যা কাপড়ের সেডকে আলাদা করে দেখায়। এই টেস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয় যে কাপড়ের রঙ সঠিক এবং কোনো অপটিক্যাল ব্রাইটেনিং এজেন্ট অকারণে ব্যবহৃত হয়নি।

17. Formaldehyde, APEO, AZO, NPEO Test:

  • উদ্দেশ্য: ফেব্রিকে কোন হেজার্ডাস ক্যামিকেল যেমন Formaldehyde, APEO, AZO, NPEO থাকে কিনা তা পরীক্ষা করা।

  • কারণ: এই ক্যামিকেলগুলি মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং ডাই, এক্সোলারিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফেব্রিকে কন্টামিনেট হতে পারে। এই টেস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয় যে কাপড় বা গার্মেন্টস এই ক্ষতিকর ক্যামিকেল মুক্ত এবং মানব স্বাস্থ্য সম্মত।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন Please Share with your Friends

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url