Textile and Garments HR ইন্টারভিউ প্রশ্ন ও উত্তর

Textile and Garments HR ইন্টারভিউ প্রশ্ন ও উত্তর

Textile and Garments HR ইন্টারভিউ প্রশ্ন ও উত্তর
"টেক্সটাইল এবং গার্মেন্টস এইচআর ইন্টারভিউ প্রশ্ন ও উত্তর: প্রস্তুত হন সফলতার জন্য!"

টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে হিউম্যান রিসোর্স (HR) বিভাগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি দক্ষ HR পেশাদারকে নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, কর্মীদের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন, শ্রম আইন মেনে চলা এবং কর্মপরিবেশ বজায় রাখার দায়িত্ব পালন করতে হয়।

নিচে গার্মেন্টস HR ইন্টারভিউতে সাধারণত যে ধরনের প্রশ্ন করা হয় ও সম্ভাব্য উত্তর দেওয়া হলো—

📌  HR সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান ও ভূমিকা

❓ প্রশ্ন: HR (Human Resource) এর মূল ভূমিকা কী?
✅ উত্তর: HR বিভাগের প্রধান ভূমিকা হলো কর্মীদের নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, পারফরম্যান্স মূল্যায়ন, বেতন কাঠামো নির্ধারণ, শ্রম আইন মেনে চলা এবং একটি স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ বজায় রাখা

❓ প্রশ্ন: গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির HR ম্যানেজারের দায়িত্ব কী কী?
✅ উত্তর:
1️⃣ কর্মীদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া
2️⃣ শ্রম আইন ও কমপ্লায়েন্স মেনে চলা
3️⃣ কর্মীদের বেতন ও福利 (সুবিধা) নিশ্চিত করা
4️⃣ কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট করা
5️⃣ শ্রমিকদের সন্তুষ্টি ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা

📌  রিক্রুটমেন্ট ও সিলেকশন প্রসেস

❓ প্রশ্ন: গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির জন্য কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া কীভাবে পরিচালনা করবেন?
✅ উত্তর:
1️⃣ চাহিদা নির্ধারণ: কোন পদে কর্মী প্রয়োজন তা নির্ধারণ করা
2️⃣ বিজ্ঞাপন প্রকাশ: অনলাইন বা পত্রিকার মাধ্যমে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা
3️⃣ আবেদন সংগ্রহ ও বাছাই: যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করা
4️⃣ ইন্টারভিউ ও লিখিত পরীক্ষা নেওয়া
5️⃣ নিয়োগ ও ওরিয়েন্টেশন: নির্বাচিত প্রার্থীদের কাজে অভ্যস্ত করা

❓ প্রশ্ন: আপনি কীভাবে গার্মেন্টস ওয়ার্কারদের সঠিকভাবে নির্বাচন করবেন?
✅ উত্তর: শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, শারীরিক সক্ষমতা এবং কাজের প্রতি আগ্রহ বিবেচনা করব।

📌  লেবার আইন ও কমপ্লায়েন্স

❓ প্রশ্ন: বাংলাদেশ লেবার আইন অনুযায়ী গার্মেন্টস শ্রমিকদের প্রধান অধিকার কী কী?
✅ উত্তর:
ন্যূনতম মজুরি পাওয়ার অধিকার
ওভারটাইম বোনাস পাওয়ার অধিকার
নিরাপদ কর্মপরিবেশ পাওয়ার অধিকার
সাপ্তাহিক ছুটি ও মাতৃত্বকালীন ছুটি
ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার

❓ প্রশ্ন: কমপ্লায়েন্স মেনে চলতে গার্মেন্টস HR কীভাবে কাজ করে?
✅ উত্তর: BGMEA, ILO, Accord & Alliance, Oeko-Tex, BSCI, WRAP এর মতো কমপ্লায়েন্স নীতিগুলো অনুসরণ করতে হয় এবং নিয়মিত অডিট ও ওয়ার্কার ট্রেনিং করানো হয়।

📌  পারফরম্যান্স ম্যানেজমেন্ট ও ট্রেনিং

❓ প্রশ্ন: গার্মেন্টস কর্মীদের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন কীভাবে করবেন?
✅ উত্তর:
1️⃣ Key Performance Indicator (KPI) সেট করা
2️⃣ মাসিক ও বার্ষিক পারফরম্যান্স মূল্যায়ন
3️⃣ কর্মীদের প্রোডাকশন, উপস্থিতি ও দক্ষতা পর্যবেক্ষণ
4️⃣ ফিডব্যাক ও ইনসেন্টিভ প্রদান

❓ প্রশ্ন: ওয়ার্কার ও স্টাফদের জন্য কী ধরনের ট্রেনিং প্রয়োজন?
✅ উত্তর:
টেক্সটাইল মেশিন ও টুলস ট্রেনিং
সেফটি ও ফায়ার ট্রেনিং
সেলাই ও উৎপাদন দক্ষতা উন্নয়ন
লিডারশিপ ও ম্যানেজমেন্ট ট্রেনিং

📌  সমস্যা সমাধান ও কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট

❓ প্রশ্ন: গার্মেন্টস কর্মীদের মধ্যে কনফ্লিক্ট হলে আপনি কীভাবে সমাধান করবেন?
✅ উত্তর:
1️⃣ দুই পক্ষের মতামত শোনা
2️⃣ নিষ্পক্ষ তদন্ত করা
3️⃣ লেবার আইন ও কোম্পানির নীতিমালা অনুযায়ী সমাধান দেওয়া
4️⃣ বৈঠকের মাধ্যমে সমঝোতা করা

❓ প্রশ্ন: কর্মীদের অনুপস্থিতি বা টার্নওভার কমানোর উপায় কী?
✅ উত্তর:
ভালো কর্মপরিবেশ তৈরি করা
বেতন ও ওভারটাইম সুবিধা নিশ্চিত করা
ইনসেন্টিভ ও প্রোমোশন প্রদান করা
ওয়ার্কারদের নিয়মিত মোটিভেট করা

📌  HR সফটওয়্যার ও ডকুমেন্টেশন

❓ প্রশ্ন: HR ম্যানেজমেন্টের জন্য কী ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়?
✅ উত্তর: SAP, Oracle, HRIS, Zoho People, Bamboo HR, Payroll Software ইত্যাদি সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয়।

❓ প্রশ্ন: HR ডকুমেন্টেশন ও রেকর্ড কিভাবে সংরক্ষণ করবেন?
✅ উত্তর: ডিজিটাল সফটওয়্যার ও ক্লাউড স্টোরেজে কর্মীদের তথ্য সংরক্ষণ করব এবং সিকিউরিটি ও প্রাইভেসি বজায় রাখব

📌 গার্মেন্টস প্রোডাকশন ও HR ভূমিকা

❓ প্রশ্ন: HR কীভাবে গার্মেন্টস প্রোডাকশনের উন্নতিতে সাহায্য করতে পারে?
✅ উত্তর:
সঠিক লোক নিয়োগ
প্রশিক্ষণ প্রদান করে দক্ষতা বৃদ্ধি
উৎপাদনশীল কর্মপরিবেশ তৈরি করা
কর্মীদের মোটিভেট করা

বাংলাদেশ শ্রম আইনে কতটি ধারা আছে?

উত্তর:
২০০৬ সালের শ্রম আইনে মোট ৩৫৪টি ধারা রয়েছে। এই আইনটি বাংলাদেশের শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষা, তাদের কাজের পরিবেশ, কাজের শর্তাবলী এবং কর্মস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে প্রণীত হয়েছে।

কত জন শ্রমিক কাজ করলে একটি প্রতিষ্ঠানকে কারখানা বলা হয়?
উত্তর:
বাংলাদেশ শ্রম আইনে যদি একটি প্রতিষ্ঠানে ৫ জন বা তার বেশি শ্রমিক কাজ করে, তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানকে কারখানা বলে গণ্য করা হয়।
ধারা-২(৭) অনুযায়ী, যে প্রতিষ্ঠান বা গার্মেন্টস এক বছরে ৫ জন বা তার বেশি শ্রমিক নিয়োগ দেয়, সেটি কারখানা হিসেবে চিহ্নিত হবে এবং শ্রম আইন অনুযায়ী সেখানকার শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত অধিকার এবং সুবিধা কার্যকর হবে।

 কিশোর শ্রমিকের বয়স কত বছর পর্যন্ত?
উত্তর:
বাংলাদেশ শ্রম আইনে কিশোর শ্রমিকের বয়স ১৪ বছরের উপরে এবং ১৮ বছরের নিচে হতে হবে। এই বয়সসীমার মধ্যে শ্রমিকদের "কিশোর শ্রমিক" হিসেবে গণ্য করা হয়।
ধারা-২(৮) অনুসারে, কিশোর শ্রমিকদের জন্য কিছু বিশেষ বিধিনিষেধ এবং সুবিধা রয়েছে, যাতে তারা শারীরিক বা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং তাদের কাজের পরিবেশ উন্নত হয়।

গ্রাচুইটি অর্থ কি?
উত্তর:
গ্রাচুইটি হলো চাকুরীর অবসানে বা চাকরি শেষে শ্রমিকের অধিকারী এক ধরনের অর্থ সহায়তা। এটি সাধারণত শ্রমিকের অন্তিম মজুরীর ভিত্তিতে প্রদান করা হয়।
গ্রাচুইটি প্রদানের শর্ত হলো, যদি শ্রমিক এক বছর বা তার বেশি সময় কর্মস্থলে কাজ করেন বা চাকুরী করার পর ৬ মাস অতিরিক্ত সময় চাকরি করেন, তবে তিনি গ্রাচুইটি পাওয়ার যোগ্য হবেন।
গ্রাচুইটির পরিমাণ হতে পারে:

  • ৩০ দিনের মজুরি (এক বছরের চাকরি বা তার পরবর্তী ৬ মাসের অতিরিক্ত সময়ের জন্য)

  • ৪৫ দিনের মজুরি (১০ বছরের বেশি চাকরি হলে)
    ধারা-২(১০), সংশোধন-৩(গ)-দফা ১০ অনুসারে, চাকুরী শেষে এই গ্রাচুইটি শ্রমিককে প্রদান করতে হবে।

ছাঁটাই অর্থ কি?
উত্তর:
ছাঁটাই হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে অপ্রয়োজনীয়তা বা অন্য কোনো কারণে মালিক কর্তৃক শ্রমিকের চাকুরী শেষ করা হয়। অর্থাৎ, যদি একটি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকের কাজের প্রয়োজনীয়তা না থাকে বা কমে যায়, তখন মালিক তার চাকুরী ছাঁটাই করতে পারেন।
ধারা-২(১১) অনুসারে, ছাঁটাই এক ধরনের চাকুরী থেকে অপসারণের প্রক্রিয়া, যা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে অথবা অবস্থা অনুযায়ী হতে পারে।

 ডিসচার্জ কি?
উত্তর:
ডিসচার্জ হলো এমন একটি পরিস্থিতি যেখানে শারীরিক বা মানসিক অক্ষমতা বা অব্যাহত ভগ্ন স্বাস্থ্যের কারণে মালিক কর্তৃক শ্রমিকের চাকুরী অবসান করা হয়। এটি সাধারণত শ্রমিকের স্বাস্থ্যগত সমস্যা বা অসুস্থতার জন্য হতে পারে, যেখানে তারা আরও কাজ করতে সক্ষম না হন।
ধারা-২(১৭) অনুযায়ী, যদি শ্রমিকের শারীরিক বা মানসিক অক্ষমতা থাকে, তবে মালিক তাকে চাকুরী থেকে ডিসচার্জ করতে পারেন।

 দিন অর্থ কি?
উত্তর:
দিন অর্থ হলো ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা, যা ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়ে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত চলে।
ধারা-২(১৯) অনুসারে, এটি সময়ের একক হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যেখানে একদিনের কাজ বা একটি পূর্ণ সময়সীমা হিসেবে ধরা হয়।

 বরখাস্ত অর্থ কি?
উত্তর:
বরখাস্ত হলো অসদাচরণ বা অশিষ্ট আচরণের কারণে মালিক কর্তৃক শ্রমিকের চাকুরী অবসান করা। এটি সাধারণত কর্মক্ষেত্রে নিয়ম বা শৃঙ্খলার লঙ্ঘন হলে ঘটতে পারে।
ধারা-২(৩৯) অনুসারে, যদি শ্রমিক তার কাজের সময় বা কর্মস্থলে গুরুতর ভুল আচরণ করেন বা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেন, তবে তাকে বরখাস্ত করা যেতে পারে।

 শিশু শ্রমিকের বয়স কত বছর পর্যন্ত?
উত্তর:
বাংলাদেশ শ্রম আইনে শিশু শ্রমিকের বয়স ১-১৪ বছর পর্যন্ত হতে পারে।
ধারা-২(৬৩) অনুযায়ী, ১৪ বছরের কম বয়সী শ্রমিকদের শিশু শ্রমিক হিসেবে গণ্য করা হয় এবং তাদের শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ নিষিদ্ধ। শিশু শ্রমিকদের জন্য বিভিন্ন আইন ও বিধিনিষেধ রয়েছে যাতে তাদের স্বাস্থ্যের উপর কোনো খারাপ প্রভাব না পড়ে।

 শ্রমিক কত প্রকার?
উত্তর:
বাংলাদেশ শ্রম আইনে শ্রমিক ৭ প্রকার। এর মধ্যে মৌসুমি শ্রমিক ছাড়া অন্যান্য শ্রমিকদের শ্রেণীবিভাগ করা হয়।
ধারা-৪, সংশোধনী-৬(ক)-উপধারা ১ অনুযায়ী, শ্রমিকের বিভিন্ন প্রকার রয়েছে, যেমন স্থায়ী, অস্থায়ী, কন্ট্রাক্ট, মৌসুমি, ও অন্যান্য ধরনের শ্রমিক।

 শ্রমিকের শিক্ষনবিসকাল কত হবে?
উত্তর:
শ্রমিকের শিক্ষনবিসকাল হলো তার প্রশিক্ষণের জন্য নির্ধারিত সময়কাল।

  • কেরানী সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের শিক্ষনবিসকাল হবে ৬ মাস

  • অন্য সাধারণ শ্রমিকদের শিক্ষনবিসকাল হবে ৩ মাস, তবে কাজের মান নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে আরও ৩ মাস বাড়ানো যেতে পারে।


কনফারমেশন পত্র না পেলে কিভাবে স্থায়ী হবে?
উত্তর:
যদি শিক্ষানবিসকাল শেষে বা তিন মাস মেয়াদ বৃদ্ধি শেষে কনফারমেশন লেটার দেওয়া না হয়, তবে উপ-ধারা (৭) এর বিধান অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট শ্রমিক স্থায়ী হিসেবে গণ্য হবেন।
ধারা-৬(গ)-উপধারা ৮ অনুযায়ী, কনফারমেশন পত্র না দিলেও নির্দিষ্ট সময়ের পর শ্রমিক স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থায়ী হয়ে যান।

কেমন পরিচয়পত্র দিতে হবে এবং পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে কত টাকা ফি দিয়ে নকল কপি পাওয়া যাবে?
উত্তর:
ছবি সহ পরিচয়পত্র প্রদান করতে হবে। যদি পরিচয়পত্র হারিয়ে যায়, তবে ৫০ টাকা ফি দিয়ে তার নকল কপি পাওয়া যাবে।
ধারা-৫, বিধি-১৯(৬) অনুযায়ী, শ্রমিকের পরিচয়পত্র দেওয়ার জন্য ছবিসহ হতে হবে এবং হারিয়ে গেলে ফি দিয়ে কপি পাওয়া যাবে।

নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক প্রধান তথ্য প্রদান রেজিস্টারে কত নং ফরম অনুযায়ী সংরক্ষণ করতে হবে?
উত্তর:
ফরম ৬(ক) অনুযায়ী, নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র এবং সার্ভিস বুকের প্রধান তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে।
এটি কর্মী সম্পর্কিত সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়।

সার্ভিস বই কে তৈরি খরচ বহন করবে এবং কার হেফাজতে থাকবে?
উত্তর:
মালিক নিজ খরচে সার্ভিস বই তৈরি করবেন এবং এটি মালিকের হেফাজতে থাকবে।
ধারা-৬(১), ৬(২) অনুযায়ী, সার্ভিস বই শ্রমিকের কর্মজীবনের সকল তথ্য ধারণ করবে এবং মালিকের অধীনে থাকবে।

সার্ভিস বইটি কিরূপ ও কোন ফরম অনুযায়ী হবে?
উত্তর:
সার্ভিস বই ১৬ পৃষ্ঠার হবে এবং ফরম ৭ অনুযায়ী তৈরি হবে।
বিধি-২০(১) অনুযায়ী, সার্ভিস বইটি নির্দিষ্ট ফরম্যাটে তৈরি করতে হবে এবং ১৬ পৃষ্ঠা ধারণ করতে হবে।

শ্রমিকের সার্ভিস বই কতদিনের মধ্যে খুলিবার ব্যবস্থা করিতে হবে?
উত্তর:
শ্রমিকের সার্ভিস বই নিয়োগ এবং শিক্ষানবিশকাল সমাপ্ত হওয়ার পর ১৫ দিনের মধ্যে খুলে দিতে হবে।
বিধি-২২(১) অনুযায়ী, শ্রমিকের সার্ভিস বই ১৫ দিনের মধ্যে খুলে দিতে হবে।

সার্ভিস বুকের নকল কপি পেতে হলে কত টাকা ফি লাগবে?
উত্তর:
২০ টাকা ফি দিয়ে সার্ভিস বুকের নকল কপি পাওয়া যাবে।
ধারা-২২(৩) অনুযায়ী, সার্ভিস বইয়ের নকল কপি পেতে এই ফি প্রদান করতে হবে।

 ছুটির রেজিস্টার ডিজিটালভাবে সংরক্ষণ করা যাবে কি না?
উত্তর:
ফরম ৯ অনুযায়ী, ছুটির রেজিস্টার ডিজিটালভাবে সংরক্ষণ করা যাবে, তবে এর মুদ্রিত কপি ব্যক্তিগত নথিতে রাখা প্রয়োজন।
বিধি-২৪(১) অনুসারে, ডিজিটাল রেজিস্টার রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু এটি প্রিন্ট আউট হিসেবে সংরক্ষণ করতে হবে।

কত দিন কাজ করলে ১ বছর এবং ৬ মাস গণনা করা হয়?
উত্তর:
যদি শ্রমিক ১ বছর গণনার জন্য ২৪০ দিন এবং ৬ মাস গণনার জন্য ১২০ দিন কাজ করে, তবে তাকে যথাক্রমে ১ বছর বা ৬ মাস প্রতিষ্ঠানে কাজ করা হিসেবে গণ্য করা হবে।
এছাড়া, এই গণনার মধ্যে নিম্নলিখিত দিনগুলোও অন্তর্ভুক্ত হবে:

  • পে-অফ দিনগুলো।

  • অসুস্থতা বা দুর্ঘটনা কারণে মজুরি সহ বা বিনা মজুরীতে ছুটির দিনগুলো।

  • বৈধ ধর্মঘট বা অবৈধ লক-আউট এর কারণে কর্মহীন দিনগুলো।

  • মহিলা শ্রমিকদের জন্য প্রসুতি ছুটি, যা অনধিক ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত হতে পারে।
    ধারা-১৪ অনুযায়ী, এইসব দিনগুলো কাজের দিন হিসেবে গণ্য করা হবে।

একজন শ্রমিককে কত টাকা জরিমানা করা যাবে?

উত্তরঃ কোন মজুরী মেয়াদে প্রদেয় মজুরীর এক দশমাংশের অধিক পরিমাণ অর্থ কোন শ্রমিককে জরিমানা হিসেবে আরোপ করা যাবে না। বিধি-২৫(১)

কত দিনের মধ্যে জরিমানার টাকা আদায় করতে হবে?

উত্তরঃ জরিমানা আরোপের ৬০ দিনের মধ্যে তা আদায় করতে হবে। ধারা-২৫(৫)

জরিমানার টাকা কোথায় ব্যয় করা যাবে?

উত্তরঃ সকল জরিমানার টাকা মালিক কর্তৃক একটি রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা হবে এবং আদায়কৃত জরিমানার টাকা শ্রমিকদের কল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হবে। ধারা-২৫(৫)

মালিক কর্তৃক বিনা নোটিশে টার্মিনেট/চাকুরীর অবসান কিভাবে করা যাবে?

উত্তরঃ মালিক বিনা নোটিশে কোন শ্রমিকের চাকুরী অবসান করতে চাইলে, সে ক্ষেত্রে প্রদেয় নোটিশ মেয়াদের পরিবর্তে মজুরী প্রদান করে এটির সমাপ্তি করতে পারবে: ১. স্থায়ী: মাসিক মজুরীর ভিত্তিতে নিয়োজিত শ্রমিকের ক্ষেত্রে ৬০ দিনের নোটিশ প্রদান করে অবসান। ২. অস্থায়ী: মাসিক মজুরীর ভিত্তিতে নিয়োজিত শ্রমিকের ক্ষেত্রে ৬০ দিনের নোটিশ, অন্য শ্রমিকের ক্ষেত্রে ৩০ দিনের নোটিশ প্রদান করে অবসান। ধারা-২৬(১), ২৬(২), ২৬(৩)

শ্রমিক সেচ্ছায় চাকুরী থেকে অব্যাহতি নিতে চাইলে কত দিন পূর্বে জানাতে হবে?

উত্তরঃ

  • স্থায়ী শ্রমিক: সেচ্ছায় চাকুরী থেকে অব্যাহতি নিতে চাইলে ৬০ দিন পূর্বে কর্তৃপক্ষকে লিখিত নোটিশ দিতে হবে।

  • অস্থায়ী শ্রমিক: মাসিক মজুরীর ভিত্তির ক্ষেত্রে ৩০ দিন এবং অন্যান্যদের ক্ষেত্রে ১৪ দিন পূর্বে জানাতে হবে। বিধি-২৭(১), ২৭(২)

 বিনা নোটিশে শ্রমিক চাকুরী অব্যাহতি নিলে করণীয় কি?

উত্তরঃ যদি কোন শ্রমিক বিনা নোটিশে চাকুরী থেকে অব্যাহতি নেন, তাহলে নোটিশ মেয়াদের সমপরিমাণ মজুরীর টাকা মালিককে প্রদান করতে হবে। ধারা-২৭(৩)

বিনা নোটিশে শ্রমিকের কর্মস্থলে ১০ দিনের বেশী অনুপস্থিতি থাকলে মালিকের কি করণীয়?

উত্তরঃ ১. ১০ দিনের সময় প্রদান করে অনুপস্থিতির ব্যাখ্যা প্রদান এবং চাকুরীতে পুনরায় যোগদানের জন্য নোটিশ প্রদান। ২. অনুপস্থিতির ব্যাখ্যা প্রদান এবং পুনরায় যোগদান না করলে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ৭ দিনের সময় প্রদান। ৩. চাকুরীতে যোগদান বা আত্মপক্ষ সমর্থন না করলে, শ্রমিক অনুপস্থিতির দিন হতে চাকুরী থেকে অব্যাহতি গ্রহন করবেই বলে গণ্য হবে। ধারা-১৩ থেকে ২৭ এর সংশোধন

শ্রমিক সেচ্ছায় চাকুরী থেকে অব্যাহতি নিতে চাইলে কত দিন পূর্বে জানাতে হবে?

উত্তরঃ

  • স্থায়ী শ্রমিক: সেচ্ছায় চাকুরী থেকে অব্যাহতি নিতে চাইলে ৬০ দিন পূর্বে কর্তৃপক্ষকে লিখিত নোটিশ দিতে হবে।

  • অস্থায়ী শ্রমিক: মাসিক মজুরীর ভিত্তির ক্ষেত্রে ৩০ দিন এবং অন্যান্যদের ক্ষেত্রে ১৪ দিন পূর্বে জানাতে হবে। বিধি-২৭(১), ২৭(২)

বিনা নোটিশে শ্রমিক চাকুরী অব্যাহতি নিলে করণীয় কি?

উত্তরঃ যদি কোন শ্রমিক বিনা নোটিশে চাকুরী থেকে অব্যাহতি নেন, তাহলে নোটিশ মেয়াদের সমপরিমাণ মজুরীর টাকা মালিককে প্রদান করতে হবে। ধারা-২৭(৩)

বিনা নোটিশে শ্রমিকের কর্মস্থলে ১০ দিনের বেশী অনুপস্থিতি থাকলে মালিকের কি করণীয়?

উত্তরঃ ১. ১০ দিনের সময় প্রদান করে অনুপস্থিতির ব্যাখ্যা প্রদান এবং চাকুরীতে পুনরায় যোগদানের জন্য নোটিশ প্রদান। ২. অনুপস্থিতির ব্যাখ্যা প্রদান এবং পুনরায় যোগদান না করলে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ৭ দিনের সময় প্রদান। ৩. চাকুরীতে যোগদান বা আত্মপক্ষ সমর্থন না করলে, শ্রমিক অনুপস্থিতির দিন হতে চাকুরী থেকে অব্যাহতি গ্রহন করবেই বলে গণ্য হবে। ধারা-১৩ থেকে ২৭ এর সংশোধন

শ্রমিকের কর্মস্থলে অনুপস্থিতির কারণে তার মজুরি কিভাবে নির্ধারণ করা হবে?

উত্তরঃ যদি শ্রমিক কোনো কারণে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকে এবং তার অনুপস্থিতি যথাযথভাবে নথিভুক্ত না করা হয়, তবে মালিককে তার অনুপস্থিতি কালের মজুরি কেটে রাখতে হবে। এই মজুরি কাটার পরবর্তী সময়ে অনুপস্থিতির দিনগুলো শ্রমিকের চাকুরীকাল থেকে বাদ পড়বে এবং তা তার স্থায়ী চাকুরীকাল হিসেবে গণ্য হবে না।

শ্রমিকের চাকুরী পুনরায় চালু করার পর তাকে কি সুবিধা প্রদান করা হবে?

উত্তরঃ চাকুরীতে পুনরায় যোগদান করার পর, শ্রমিকের পূর্বের চাকুরীকাল পুনরায় গন্য হবে এবং তাকে সমস্ত সুযোগ সুবিধা, ভাতা এবং অন্যান্য প্রাপ্যতা প্রদান করা হবে, যা তার চাকুরীকাল চলাকালীন ছিল।

 কর্মস্থলে স্বাভাবিক অবসরের পর শ্রমিক কি ধরনের সুবিধা পাবে?

উত্তরঃ শ্রমিক স্বাভাবিক অবসরের পর তার বেতন এবং অন্যান্য সুবিধা যেমন গ্রাচুইটি, চাকুরীকালীন প্রাপ্ত ভাতা এবং অন্যান্য অধিকার পরিশোধ করা হবে। এর পাশাপাশি, শ্রমিক যদি পরবর্তীতে ইচ্ছাকৃতভাবে পরিসেবা দিতে চান, তবে তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া যাবে, যেখানে তার নতুন চুক্তি অনুযায়ী মজুরি এবং অন্যান্য সুবিধা নির্ধারণ করা হবে।

যদি কোন শ্রমিককে তার চাকুরী থেকে ডিসচার্জ করা হয়, তার পরিমাণ কি ক্ষতিপূরণ পাওনা?

উত্তরঃ যদি শ্রমিককে শারীরিক বা মানসিক অক্ষমতার কারণে চাকুরী থেকে ডিসচার্জ করা হয়, তবে তাকে তার চাকুরীকাল অনুযায়ী ৩০ দিনের মজুরী অথবা গ্রাচুইটি দেওয়া হবে, যেটি অধিক হবে, তবে তার পরিশোধ হতে হবে ছেদ ঘটার পরবর্তী ৩০ কর্ম দিবসের মধ্যে।

গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির HR পজিশনের জন্য নিয়োগ, ট্রেনিং, কমপ্লায়েন্স, পারফরম্যান্স ম্যানেজমেন্ট ও সমস্যা সমাধান বিষয়ে ভালো ধারণা থাকা দরকার। এই প্রশ্নোত্তর গুলো প্রস্তুতি নিলে একজন দক্ষ HR পেশাজীবী হিসেবে গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে সফল হওয়া সম্ভব। 🚀

Next Post Previous Post